Green Line পরিবহন: টিকিট বুকিং, ভাড়া, রোড, ও সময়সূচী ২০২৫

Green Line পরিবহন টিকিট বুকিং ২০২৫: বাংলাদেশে যেই ক’টা দূরপাল্লার বাস কোম্পানি ভরসা দিছে, গ্রীন লাইন পরিবহন তাগো মধ্যে শীর্ষে। ঢাকায় হোক বা চট্টগ্রামে, কিংবা কক্সবাজারে যাওয়া–সব যায়গাতেই যাত্রীগো আরাম, নিরাপত্তা আর সময়মত গন্তব্যে পৌঁছানো দ্যাখা যায়। 

এক্কেবারে ফ্যামিলি ট্রিপ হোক বা একা যাত্রা, গ্রীন লাইনের বাসে উঠলে মনের ভেতর নিশ্চিন্ত ভাব আসে। তাদের কাছে আছে Non-AC, AC (বিজনেস ক্লাস), ডাবল ডেকার, আবার দেশে প্রথমবারের মতো স্লিপার কোচও চালু করছে। মানে আপনার বাজেট যাই হউক, গ্রীন লাইনে ঠিকঠাক অপশন পেয়ে যাবেন।

 
Green Line পরিবহন টিকিট বুকিং ২০২৫

Green Line পরিবহনের জনপ্রিয় রোড আর ভাড়া

নোট: ভাড়া দূরত্ব, সময়, সিজন ও সার্ভিস টাইপ অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। অফিসিয়াল তথ্যের জন্য সবসময় greenlinebd.com দেখুন।
রুট Non‑AC AC Sleeper নোট
ঢাকা → চট্টগ্রাম ইকোনমি / ডাবল‑ডেকার: ১৬০০ টাকা থেকে শুরু সেবার ধরন অনুযায়ী ভেড়া ওঠা/কম হতে পারে
ঢাকা → কক্সবাজার ২০০০ টাকা ২২00 টাকা ২৫০০ টাকা প্রী‑বুকিং ও উৎসব মৌসুমে ভাড়া বাড়তে পারে
ঢাকা → সিলেট প্রায় ১৪০০ টাকা AC সার্ভিস উল্লেখ করা হয়েছে
ঢাকা → খুলনা / বেনাপোল / সাতক্ষীরা গড়ে ১০০০–১৪০০ টাকা রুটভিত্তিক আলাদা ভাড়া থাকতে পারে
ঢাকা → বরিশাল ৮৫০ টাকা ১২০০ টাকা পদ্মা সেতু রুটে দ্রুত ভ্রমণ
ঢাকা → কলকাতা (ভারত) ১৪০০ টাকা ২০০০ টাকা আন্তর্জাতিক রুট; কাগজপত্র ও শর্ত প্রযোজ্য

Green Line পরিবহন — রোড নেটওয়ার্ক

Green Line দেশের নানা বড় শহর ও আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত সার্ভিস দেয়। নিচে জনপ্রিয় রোডগুলো দেয়া হলো। 

রোড শ্রেণী / নোট
ঢাকা ↔ চট্টগ্রাম প্রধান আন্তঃনগর রুট — দ্রুত ও বহুগুণ সার্ভিস
ঢাকা ↔ কক্সবাজার দীর্ঘ দূরত্ব; AC, Non‑AC ও স্লিপার সার্ভিস উপলব্ধ
ঢাকা ↔ খুলনা পশ্চিমাঞ্চল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রুট
ঢাকা ↔ বরিশাল পদ্মাসেতু রুটে দ্রুত যাতায়াত
ঢাকা ↔ সিলেট উত্তর-পূর্ব রুট; AC সার্ভিস প্রাচুর্য
চট্টগ্রাম ↔ সিলেট দ্বি-নগর সংযোগ — মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যায়
ঢাকা ↔ কলকাতা (আন্তর্জাতিক) আন্তর্জাতিক সার্ভিস — পাসপোর্ট ও ভিসা প্রয়োজন
ভিন্ন রুট (উদাহরণ) রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, যশোর, বেনাপোল, সাতক্ষীরা সহ আরও অনেকে

গ্রীন লাইন অনলাইন টিকিট কিভাবে কাটবেন?

আগে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা ছিল, এখন সেই দিন শেষ। মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে বাসার বসে টিকিট কাটতে পারবেন।

স্টেপ বাই স্টেপ টিকিট বুকিং প্রসেস:

১- ওয়েবসাইট/অ্যাপ ভিজিট করুন ২- ট্রিপ ডিটেইলস দিন
  • যাত্রার স্থান (যেমন: ঢাকা)
  • গন্তব্য (যেমন: কক্সবাজার/চট্টগ্রাম/সিলেট)
  • ভ্রমণের তারিখ
  • যাত্রীর সংখ্যা
৩- বাস নির্বাচন করুন
  • AC, Non-AC, ডাবল ডেকার বা স্লিপার – বাজেট অনুযায়ী বেছে নিন
৪- সিট বুক করুন
  • খালি সিটে ক্লিক করে সিট কনফার্ম করুন
৫- তথ্য পূরণ করুন
  • নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল
  • কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর লাগতে পারে
৬- পেমেন্ট করুন
  • bKash, Nagad, Rocket
  • Visa/MasterCard
  • Internet Banking
৭- টিকিট ডাউনলোড করুন
  • SMS/ইমেইলে টিকিট কনফার্মেশন পাবেন
  • টিকিট প্রিন্ট করতে পারেন, না হলে মোবাইলের ই-টিকিটও যথেষ্ট
টিপস: উৎসব বা ছুটির সময় ৩–৫ দিন আগে টিকিট বুক করা ভালো, না হলে সিট ফাঁকা না-ও থাকতে পারে।

how to buy green line ticket online (Video guide)

Green Line সময়সূচী ও ভাড়া (ঢাকা থেকে জনপ্রিয় রোড)

সময়সূচী পরিবর্তন হতে পারে। যাত্রার আগে অফিসিয়াল সাইট greenlinebd.com এ যাচাই করে নিন।
রোড সময়সূচী ভাড়া (টাকা)
ঢাকা → চট্টগ্রাম সকাল ৭টা – রাত ১১:৩০ (প্রতি ৩০ মিনিট পরপর) ইকোনমি/ডাবল-ডেকার AC: ১৬০০ থেকে শুরু
ঢাকা → কক্সবাজার সকাল ৭:৩০, দুপুর ১টা, বিকাল ৩:৩০, রাত ১০:৩০ Non-AC ২০০০, AC ২২০০, স্লিপার ২৫০০
ঢাকা → সিলেট সকাল ৮টা, বিকাল ৩:৩০, রাত ১০টা AC প্রায় ১৪০০
ঢাকা → খুলনা সকাল ৯টা, বিকেল ৪টা, রাত ১১টা গড়ে ১০০০–১৪০০ (AC)
ঢাকা → বরিশাল সকাল ৮টা, দুপুর ২টা, রাত ১০:৩০ Non-AC ৮৫০, AC ১২০০
ঢাকা → কলকাতা সকাল ৭টা (AC), রাত ১১:৩০ (স্লিপার) Non-AC ১৪০০, AC ২০০০

কাস্টমার কেয়ার ও কাউন্টার নাম্বার

ঢাকা অফিস (হেড অফিস): 📍 9/2 Outer Circular Road, Momenbagh, Rajarbagh, Dhaka-1217 📞 01730-060035 / 01730-060037 কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাউন্টার নাম্বার:
  1. নর্দা: 01730-060098
  2. বাড্ডা: 01970-060074
  3. যশোর: 01730-060038
  4. খুলনা সদর: 01730-060037
  5. কক্সবাজার (কোলাতলী): 0341-63747
  6. সিলেট (কদমতলী): 01970-060036
পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাবেন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে: greenlinebd.com

ভ্রমণকে আরামদায়ক করার টিপস

ভ্রমণে যাওনের আগে পেটভরতি না খাইয়া হালকা কিছু খাইয়া নিলে রাস্তায় গা গরম লাগবে না, অজ্ঞানও অইবেনা। এক বোতল পরিষ্কার পানি হাতে রাখলে গলা শুকাইলেও ঝামেলা নাই, গরমে ফ্রেশও লাগবে। 

 রওনা দিবার টাইমের অন্তত আধা ঘণ্টা আগে বাস টার্মিনালে আইসা পড়লে মন শান্তি থাকে, টেনশন নাই—লাইনে দাড়াইয়া সিট ধরতেও বাড়তি দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না। টিকিটটা আর আইডি কার্ডটা অবশ্যই সাথে নেন, আগে থেকে চেক করে রাখলে হঠাৎ হারায়ে যাওয়ার ভয় থাকেনা। 

আরেকটা জিনিস—এখন তো অনলাইনে সিট বুক করা যায়। বাসায় বসেই বুক করলেই কাজ শেষ, লাইনে দাঁড়াইতে হয় না, ভিড়ের ঝক্কি ঝামেলাও নাই। যাত্রার দিন শুধু সময়মতো টার্মিনালে পৌঁছাইলে আর কোনো ঝামেলা নাই। 

  আরও পড়ুনঃ সূর্যকুমারের তীব্র মন্তব্য পাকিস্তান বনাম ভারত ম্যাচে।

শেষ কথা

গ্রীন লাইন পরিবহন এখন চট্টগ্রামের মানুষরে যাত্রা কইরার ধরণটাই বদলাই দিছে। আগে তো দেরি, কষ্ট, সিটের ঝামেলা – এইসব চিন্তা মাথায় রাখার দরকার আছিল। কিন্তু গ্রীন লাইন আসার পর অনেক কিছুই সহজ হইছে। বড় বড় লং ট্রিপের প্ল্যান করলে আর ভয় নাই, 

কারণ এই বাসের টাইম টেবিল ঠিকঠাক, সিটও একদম আরামদায়ক। ধরেন, আপনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বা দেশের যেকোনো দূরপাল্লার জায়গায় যাওনের চিন্তা করতেছেন। আগে থেকে গ্রীন লাইনের অনলাইন টিকিট কেটে রাখেন, ইন্টারনেট থেইক্কা বুকিং করা একদম সহজ। ভ্রমণের দিন রওনা হইবার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে টার্মিনালে চলে আসেন। 

বাসে উঠলেই মনে হইব ঘরের মতোই আরাম—এসি, পরিষ্কার সিট আর ঝকঝকে বাস, রাস্তায়ও স্পিড ঠিক আছে, কোন হঠাৎ ব্রেকের ভয় নাই। আরেকটা জিনিস, গ্রীন লাইন সার্ভিসে নিরাপত্তার ব্যপারটা অনেক ভালো। ড্রাইভার থেকে শুরু করে হেল্পার—সবাই যাত্রীদের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করে। 

যাত্রার মাঝপথে নাস্তা বা টয়লেটের জন্য থামার সুবিধাও ঠিকঠাক আছে। তাই রাস্তায় বাচ্চা-কাচ্চা বা বয়স্ক মানুষ নিয়া গেলেও চিন্তা করার কিছু নাই। তাই যদি আপনার ট্রিপের প্ল্যান থাকে—হোক সেটা অফিসের কাজ, 

ফ্যামিলি ট্যুর বা বন্ধুদের আড্ডা—আগে থেকে গ্রীন লাইনের টিকিট কনফার্ম করে নেন। সময়মতো টার্মিনালে পৌঁছান, তারপর রিল্যাক্স মুডে ভ্রমণ উপভোগ করেন। গ্রীন লাইন মানে এক কথায়—নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক আর স্মরণীয় যাত্রা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন