আজকালকার দিনে হঠাৎ টাকার দরকার পড়লে বা নিজের জীবনযাত্রার মান একটু উন্নত করতে চাইলে “ইস্টার্ন ব্যাংক এক্সিকিউটিভ লোন” একটা দারুণ সমাধান। এই লোনটা হইছে কুইক লোন আর ফাস্ট লোন — মানে সময় নষ্ট নাই, কাগজপত্র কম, আর টাকা হাতেও পাইবা তাড়াতাড়ি।
সম্পর্কিত পোস্ট:
ইস্টার্ন ব্যাংক এক্সিকিউটিভ লোন আসলে কী?
এইটা হইছে একধরনের অসুরক্ষিত (Unsecured) ব্যক্তিগত ঋণ, মানে কোনো জামানত বা সম্পত্তি বন্ধক দিতে হয় না। তুমি তোমার মাসিক ইনকামের বিপরীতে ব্যাংক থেইকা নির্দিষ্ট অংকের টাকা পাইবা, যেটা দিয়ে ঘরের প্রয়োজনে, বিয়ের খরচে, ফার্নিচার কিনতে, বা এমনকি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতেও ব্যবহার করা যায়।ইস্টার্ন ব্যাংক এক্সিকিউটিভ লোনের প্রধান ফিচার (Features)
ফিচার | বিবরণ |
---|---|
লোনের পরিমাণ | ১ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (তবে মাসিক ইনকামের ২০ গুণের বেশি না) |
পরিশোধের মেয়াদ | ১২ মাস থেকে ৬০ মাস (১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত) |
সুদের হার | প্রতিযোগিতামূলক এবং মার্কেট অনুযায়ী — সর্বশেষ রেট জানতে ভিজিট করুন: www.ebl.com.bd |
জামিনদার | একজন ব্যক্তিগত গ্যারান্টর লাগবে |
ডকুমেন্টেশন | খুবই কম কাগজপত্র, সহজ প্রসেস |
আগাম পরিশোধের সুবিধা | চাইলে আগেই পুরো বা আংশিক টাকা শোধ করা যায় |
নিরাপত্তা | কোনো সম্পত্তি বন্ধক দেওয়ার প্রয়োজন নেই (Unsecured loan) |
লুকানো চার্জ | লুকানো চার্জ নেই — যতটা বলা হবে, ঠিক ততটাই কেটে নেওয়া হবে |
লোন প্রসেসিং টাইম | বাজারের মধ্যে সবচেয়ে কম (দ্রুত অনুমোদন ও ডকুমেন্টেশন) |
ইস্টার্ন ব্যাংক এক্সিকিউটিভ লোনের যোগ্যতা (Eligibility)
বিষয় | শর্ত |
---|---|
বয়স | ন্যূনতম ২২ বছর, সর্বোচ্চ ৬০ বছর (বেতনভোগী), ৬৫ বছর (স্ব-কর্মসংস্থান/বাড়িওয়ালা) |
চাকরির অভিজ্ঞতা | বেতনভোগী হলে বর্তমান অফিসে কমপক্ষে ১ বছর ৬ মাস চাকরি থাকা লাগবে |
স্ব-কর্মসংস্থান/পেশাজীবী | নিজের পেশায় অন্তত ১ বছর অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে |
ন্যূনতম মাসিক ইনকাম (NMI) | সরকারি চাকরিজীবী: ২০,০০০ টাকা শ্রেণীবদ্ধ কোম্পানির কর্মী: ২৫,০০০ টাকা অশ্রেণীবদ্ধ কোম্পানি/পেশাজীবী/বাড়িওয়ালা: ৩০,০০০ টাকা |
অনলাইনে আবেদন করার ধাপ
ওয়েবসাইটে যাইবা: প্রথমে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (EBL)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাই www.ebl.com.bd/retail-loan/EBL-Executive-Loan লোন টাইপ বাছাই করবা: ওয়েবসাইটে Personal Loan এর ভেতর Executive Loan সেকশন খুঁজে লই। এখান থেইকা লোনের সব শর্ত, পরিমাণ, সুদের হার আর EMI ক্যালকুলেটরের সুবিধা দেখতে পারবা। অনলাইন ফরম পূরণ করবা: “Apply Now” বাটনে ক্লিক কইরা ফরম পূরণ কর। ফরমে তোর তথ্য দিতে হইব:- নাম
- মোবাইল নম্বর
- ইমেইল
- চাকরি বা ব্যবসার বিবরণ
- মাসিক ইনকাম
- লোনের চাইত অংক
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কপি
- ২টা পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- চাকরিজীবী হলে বেতন স্লিপ, ব্যবসায়ী হলে প্রমাণপত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (৬ মাস)
- ট্রেড লাইসেন্স (যদি ব্যবসা করিস)
যোগাযোগের তথ্য
যে কোনো প্রয়োজনে বা লোন সংক্রান্ত প্রশ্নে যোগাযোগ করো:- হটলাইন: 16230
- আন্তর্জাতিক কল: +8809677716230
- ইমেইল: info@ebl.com.bd
- ইবিএল শাখা লোকেশন খুঁজুন: www.ebl.com.bd/branches
- অফিসিয়াল ওয়েব সাইট : www.ebl.com.bd
লোন নেওয়ার আগে যা জানা জরুরি
লোন মানে কিন্তু শুধু টাকা নেওয়া না ভাই — এর পেছনে দায়িত্বও আসে। অনেক সময় দেখি মানুষে হুট কইরা লোন নিয়ে ফাঁদে পড়ে যায়। তাই নিচের কথাগুলা মনে রাখলে টেনশন কমে, লোন নিলেও মাথা ঠান্ডা থাকে।- পরিশোধ ক্ষমতা দেখো: মাসিক আয় আর খরচ মিলায়া কিস্তি দিতে পারবা কিনা চেক কর।
- সুদের হার জানো: Effective Interest Rate আগে দেখে নিও EBL Executive Loan
- চুক্তিপত্র পড়ো: Fine Print ভালা কইরা দেখো, বুঝে সই দিও।
- EMI ক্যালকুলেটর ব্যবহার কর: মাসিক কিস্তি আগে হিসাব কর Loan Calculator
- CIB রিপোর্ট ঠিক রাখ: আগের লোন/ক্রেডিট ঠিকঠাক শোধ করা থাকলে সুবিধা হয়।
- জামিনদার ভালো রাখ: ব্যাংক বিশ্বাসযোগ্য একজন লোক চাইবে।
- প্রয়োজনের বেশি লোন নিস না: যতটা দরকার, ঠিক ততটাই নাও।
- কিস্তির তারিখ মনে রাখ: সময়মতো EMI দাও, লেট ফি এড়াও।
- আগাম পরিশোধের নিয়ম জানো: Early Settlement Fee আছে কিনা আগে জিগায়া নিও।
- অফিসিয়াল সোর্স থেকে তথ্য নিও: EBL ওয়েবসাইট বা শাখা অফিসে।
লোনের সুবিধা ও লোনের অসুবিধা
লোনের সুবিধা (Pros) | লোনের অসুবিধা (Cons) |
---|---|
দ্রুত টাকা হাতে পাওয়া | একজন জামিনদার লাগবে |
কম কাগজপত্র, সহজ প্রসেস | মাসিক ইনকামের ২০ গুণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ |
EMI সুবিধা, মাসে মাসে শোধ | EMI দেরি করলে Penalty |
আগাম শোধ করা যায় | সুদের বোঝাপড়া ভুল হলে সমস্যা হয় |
প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার | অতিরিক্ত লোন নিলে ঝামেলা বাড়ে |
যেকোনো বৈধ খরচে ব্যবহার করা যায় | কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে |
- এমটিবি পার্সোনাল লোন | আবেদন ও সুদের তথ্য
- এবি ব্যাংক পার্সোনাল লোন – সুদের হার, যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া
সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. এক্সিকিউটিভ লোন মানে আসলে কী? উত্তর: ভাই, এক্সিকিউটিভ লোন মানে হইল একরকমের “দ্রুত টাকা পায়া যাওয়ার লোন”। এইডা এমন লোন যেইডা নিতে জামানত দরকার নাই, কিস্তিতে শোধ করা যায়, আর সময়ও কম লাগে।
২. ইবিএল থেইকা কতো টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়?
উত্তর: তুমিই পারবা ন্যূনতম ১ লক্ষ থেইকা শুরু কইরা সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে — তবে তোর মাসিক ইনকামের ২০ গুণের বেশি পাইবা না।
৩. লোন নিতে বয়স কতো লাগবে?
উত্তর: চাকরিজীবী হইলে ২২ থেইকা ৬০ বছর পর্যন্ত, ব্যবসায়ী বা বাড়িওয়ালা হইলে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যায়।
৪. জামানত বা সিকিউরিটি লাগবে নাকি?
উত্তর: না রে ভাই, এই লোনে কিচ্ছু জামানত দিতে হয় না। একটাই লাগবে — একজন গ্যারান্টর (মানে জামিনদার), ব্যস।
৫. কত দিনের মধ্যে লোন শোধ করতে হয়?
উত্তর: লোনটা ১ বছর থেইকা শুরু কইরা ৫ বছর পর্যন্ত কিস্তিতে শোধ করা যায়। মানে ১২ মাস থেইকা ৬০ মাস পর্যন্ত সময় পাইবা।
৬. আগে শোধ দিলে বাড়তি চার্জ নেয় নাকি?
উত্তর: না ভাই, আগাম শোধ দিলে বরং সুদের ঝামেলা কমে। কোনো লুকানো চার্জ নাই, সব আগেই জানায়া দেয় ব্যাংক।
৭. সুদের হার কতো রাখে?
উত্তর: সুদের হারটা বাজার আর ব্যাংকের নিয়মে কিছুটা কমবেশি হয়। তবে EBL সবসময় প্রতিযোগিতামূলক রেট দেয়।
তুমি চাওলে এখান অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেইকা দেখে নিতে পারো www.ebl.com.bd
৮. কত দিনে টাকা হাতে পাই?
উত্তর: সব কাগজ ঠিক থাকলে সাধারণত ৩ থেইকা ৫ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা তোর একাউন্টে চলে আসে।
৯. লোনে লুকানো চার্জ রাখে নাকি?
উত্তর: না ভাই, ইবিএল একদম ক্লিয়ার। যা খরচ, আগেই বলে দেয়। কোনো হিডেন চার্জ নাই।
Tags:
Loans